বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
বুধবার GBP/USD পেয়ার উল্লেখযোগ্য দরপতনের সম্মুখীন হয়েছে, যা মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলের প্রভাবে হয়েছে। আমরা উল্লেখ করেছি যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য জয়ের সাথে ডলারের দর বৃদ্ধির মধ্যে কোনো যৌক্তিক সম্পর্ক নেই। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের প্রতি মার্কেটের ট্রেডারদের আবেগপ্রবণ প্রতিক্রিয়া ছিল।
পাউন্ড ইতোমধ্যেই পুনরুদ্ধার করতে শুরু করেছে, এবং যদি আজ দুটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠক না থাকত, আমরা আশা করতাম পাউন্ডের মূল্য মঙ্গলবারের লেভেলে ফিরে আসবে। তবে প্রথমে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড তাদের বৈঠকের ফলাফল ঘোষণা করবে, যা পাউন্ডের আরও একটি দরপতনের কারণ হতে পারে। পরে ফেডারেল রিজার্ভ তাদের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে, যা মার্কেটে যেকোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া উস্কে দিতে পারে। জেরোম পাওয়েল এবং অ্যান্ড্রু বেইলির বক্তব্য থেকে কি জানা যাবে তা আগাম বলা অসম্ভব, তাই বৃহস্পতিবার এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
বুধবার ৫-মিনিট টাইম ফ্রেমে ইউরোপীয় এবং মার্কিন ট্রেডিং সেশনে এই পেয়ার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সাইডওয়েজ প্রবণতায় ট্রেড করেছে। 1.2848-1.2860 জোন এবং 1.2913 লেভেলের আশেপাশে বেশ কিছু কার্যকর ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। তবে, আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, বুধবার ট্রেডিং করা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল, কারণ এই পেয়ারের মূল্য সহজেই যেকোনো দিকে যেতে পারত।
বৃহস্পতিবারে কীভাবে ট্রেড করতে হবে:
ঘণ্টাভিত্তিক টাইম ফ্রেমে, মাসব্যাপী দরপতনের পরে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের একটি কারেকশন শুরু করার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। মধ্যমেয়াদে, আমরা পাউন্ডের আরও দরপতনের সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করছি, কারণ এটিই সবচেয়ে যৌক্তিক ফলাফল বলে মনে হচ্ছে। স্বল্পমেয়াদে, আবারও পাউন্ডের মূল্যের একটি কারেকশন শুরু করার চেষ্টা করা হতে পারে, তবে এর জন্য ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এবং ফেডের বৈঠকের ফলাফল থেকে সমর্থন প্রয়োজন হবে।
বৃহস্পতিবারের জন্য, নতুন ট্রেডারদের যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে, কারণ এই পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে ওঠানামা করতে পারে।
৫-মিনিট টাইম ফ্রেমে, নিম্নলিখিত লেভেলগুলোর আশেপাশে ট্রেডিং করা যেতে পারে: 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145-1.3167, 1.3225, 1.3272, 1.3365। নতুন ট্রেডারদের ব্যাংক অব ইংল্যান্ড ও ফেডের বৈঠকের দিকে মনোযোগ দেয়া উচিত এবং বিশেষত বেইলি এবং পাওয়েলের ভাষণের প্রতি আরও বেশি মনোযোগ দেয়া উচিত। প্রথম বৈঠকটি দিনের বেলা অনুষ্ঠিত হবে, তাই মার্কিন সেশনে এই পেয়ারের মূল্যের ব্যাপক ওঠানামা দেখা যেতে পারে। সন্ধ্যায়ও এই পেয়ারের মূল্যের বাড়তি ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।